Select Page
Swahili Bible
Welcome to the Swahili Bible Website.
swahili

Swahili.Bible

Welcome to Swahili Bible site! Swahili, also known as Kiswahili, is a Bantu language and the first language of the Swahili people. It is a lingua franca of the African Great Lakes region and other parts of eastern and southeastern Africa, including Tanzania, Kenya, Uganda, Rwanda, Burundi, Mozambique and the Democratic Republic of the Congo. It is estimated that around 15 Million users speak it. The New Testament was first translated into Swahili around 1850. United Bible Societies is working towards making this Bible available to all who need it.

Bible Society of Kenya

Bible Society of Kenya

Bible House, Langata Road
Madaraka, Nairobi
PO Box 72983

Tel: 254 20602807
E-mail: info@biblesociety-kenya.org



44

বিন্যামীনের বস্তায় রূপার বাটি

1তারপর যোষেফ তাঁর বাড়ীর তদারককারীকে এই বলে আদেশ দিলেন, “শস্য এরা যা নিয়ে যেতে পারে তা-ই তাদের বস্তায় ভরে দিয়ো, আর প্রত্যেকের টাকা তার বস্তার মুখে দিয়ে দিয়ো। 2যে সবচেয়ে ছোট তার বস্তার মুখে আমার রূপার বাটিটা আর শস্যের জন্য তার দেওয়া টাকাও দিয়ে দিয়ো।” যোষেফ তাকে যা করতে বললেন সে তা-ই করল।

3পর দিন ভোর হতেই গাধায় করে তাদের পাঠিয়ে দেওয়া হল। 4তারা সবেমাত্র শহর থেকে বের হয়েছে কিন্তু বেশী দূরে যায় নি, এমন সময় যোষেফ তাঁর বাড়ীর তদারককারীকে বললেন, “তাড়াতাড়ি করে ঐ লোকদের পিছনে যাও। ওদের নাগাল পেলে পর বলবে, ‘তোমরা উপকারের বদলে অপকার করে আসলে কেন? 5ঐ বাটিতে করেই তো আমার মনিব পান করেন এবং ওটা দিয়েই গোণাপড়ার কাজ করেন। তোমরা এই কাজ করে খুব অন্যায় করেছ।’ ”

6পথে সেই তদারককারী তাদের নাগাল পেয়ে সেই কথা বলল। 7কিন্তু তারা তাকে বলল, “হুজুর, আপনি এই সব কথা কেন বলছেন? আপনার দাসেরা এই রকম কাজ কখনও করবে না। 8দেখুন, গতবারে আমাদের বস্তার মুখে যে টাকা পেয়েছিলাম তা আমরা কনান দেশ থেকে আবার ফিরিয়ে এনেছিলাম। এর পর আপনার মনিবের বাড়ী থেকে আমরা রূপা বা সোনা চুরি করে আনব কেন? 9যদি সেই বাটি আপনার এই দাসদের কারও কাছে পাওয়া যায় তবে তাকে যেন মেরে ফেলা হয়, আর তখন আমরাও আমাদের মনিবের দাস হয়ে থাকব।”

10সেই তদারককারী বলল, “বেশ, তোমরা যা বললে তা-ই হোক। কিন্তু যার কাছে সেই বাটি পাওয়া যাবে কেবল সে-ই আমার দাস হয়ে থাকবে। অন্য কারও কোন দোষ থাকবে না।”

11তখন প্রত্যেকে তাড়াতাড়ি করে তার বস্তা মাটিতে নামিয়ে খুলল। 12সেই তদারককারী তখন বড় ভাইয়ের বস্তা থেকে আরম্ভ করে ছোট ভাইয়ের বস্তা পর্যন্ত খুঁজে দেখল, আর বিন্যামীনের বস্তায় সেই বাটি পাওয়া গেল। 13এই ব্যাপার দেখে তারা তাদের কাপড় ছিঁড়ল। তারপর তারা তাদের গাধার পিঠে প্রত্যেকের বস্তা চাপিয়ে আবার শহরে ফিরে গেল।

14যিহূদা ও তার ভাইয়েরা যে সময় যোষেফের বাড়ীতে গেল যোষেফ তখনও সেখানে ছিলেন। তারা তাঁর সামনে গিয়ে মাটিতে উবুড় হয়ে পড়ল। 15তখন যোষেফ তাদের বললেন, “তোমরা এ কি করেছ? আমার মত লোক যে সত্যিই সব কিছু গুণে বের করতে পারে তা কি তোমরা জানতে না?”

16যিহূদা বলল, “হুজুরকে আমরা আর কি বলব? কি উত্তরই বা দেব? আর কেমন করেই বা নিজেদের নির্দোষ বলে প্রমাণ করব? আপনার দাসদের দোষ তো ঈশ্বরই দেখিয়ে দিয়েছেন। যার কাছে সেই বাটিটা পাওয়া গেছে সে আর আমরা সবাই হুজুরের দাস হলাম।”

17কিন্তু যোষেফ বললেন, “এই কাজ আমি কখনও করতে পারি না। যার কাছে সেই বাটি পাওয়া গেছে কেবল সে-ই আমার দাস হবে। কিন্তু তোমরা নিশ্চিন্তে তোমাদের বাবার কাছে ফিরে যাও।”

ভাইয়ের জন্য যিহূদার অনুরোধ

18তখন যিহূদা যোষেফের কাছে এগিয়ে গিয়ে বলল, “হুজুর, আপনি ফরৌণের জায়গায় আছেন, সেইজন্য আপনার দাসকে আপনার কাছে দু’টি কথা বলবার অনুমতি দিন। আপনার দাসের উপর আপনি রাগ করবেন না। 19হুজুর, আপনার দাসদের আপনি জিজ্ঞাসা করেছিলেন, ‘তোমাদের বাবা কি বেঁচে আছেন এবং তোমাদের আর কোন ভাই আছে কি? ’ 20তাতে আমরা হুজুরকে বলেছিলাম, ‘আমাদের বুড়ো বাবা বেঁচে আছেন এবং তাঁর বুড়ো বয়সের একটি ছেলে আছে। তার ভাই মারা গেছে, আর একই মায়ের সন্তান হিসাবে এখন সে একাই কেবল পড়ে আছে। তাই তার বাবা তাকে খুব ভালবাসেন।’

21“তারপর আপনি আপনার দাসদের বলেছিলেন, ‘তাকে আমার কাছে নিয়ে এস; আমি তাকে দেখতে চাই।’ 22কিন্তু আমরা হুজুরকে বলেছিলাম, ‘ছেলেটি তার বাবাকে ছেড়ে আসতে পারবে না। যদি আসে তবে তার বাবা মারা যাবেন।’ 23কিন্তু আপনি আপনার দাসদের বলেছিলেন, ‘তোমাদের ছোট ভাইকে সংগে করে না আনলে তোমরা আর আমার সামনে আসবে না।’ 24সেইজন্য আমরা ফিরে গিয়ে আপনার দাসকে, অর্থাৎ আমার বাবাকে হুজুরের সব কথাই জানিয়েছিলাম।

25“পরে আমাদের বাবা বললেন, ‘তোমরা ফিরে গিয়ে আমাদের জন্য আরও কিছু শস্য কিনে নিয়ে এস।’ 26তখন আমরা বললাম, ‘আমাদের ছোট ভাই যদি আমাদের সংগে যায় তবেই আমরা যাব। তা না হলে আমরা সেখানে যেতে পারব না। আমাদের ছোট ভাই যদি আমাদের সংগে না থাকে তবে আমরা সেই লোকটির সামনেই যেতে পারব না।’

27“তখন আপনার দাস, অর্থাৎ আমার বাবা আমাদের বললেন, ‘তোমরা তো জান আমার ঐ স্ত্রীর দু’টি ছেলে হয়েছিল। 28একবার তাদের একজন আমার সামনে থেকে বেরিয়ে গেল, আর শেষে আমি বুঝতে পারলাম যে, নিশ্চয়ই কোন জানোয়ার তাকে টুকরা টুকরা করে ছিঁড়ে ফেলেছে। তারপর থেকে তাকে আমি আর দেখতে পাই নি। 29এখন যদি তোমরা একেও আমার কাছ থেকে নিয়ে যাও আর তার কোন ক্ষতি হয়, তবে এই বুড়ো বয়সে অনেক দুঃখ-বেদনার মধ্য দিয়ে তোমরা আমাকে মৃতস্থানে পাঠাবে।’

30-31“সেইজন্য এখন যদি আপনার দাসের কাছে, অর্থাৎ আমার বাবার কাছে আমি ফিরে যাই আর ছেলেটিকে তিনি আমাদের সংগে না দেখেন তবে নিশ্চয়ই তিনি মারা যাবেন, কারণ ছেলেটির সংগে তাঁর প্রাণ যেন একসংগে বাঁধা আছে। এইভাবে আপনার দাসেরা তাদের বুড়ো বাবাকে, অর্থাৎ আপনার দাসকে অনেক দুঃখের মধ্য দিয়ে মৃতস্থানে পাঠাবে। 32আপনার দাস আমি আমার বাবার কাছে ছেলেটির জন্য এই বলে জামিন রয়েছি, ‘যদি আমি তাকে তোমার কাছে ফিরিয়ে না আনি তবে বাবা, চিরকালের জন্য আমি তোমার কাছে দোষী হয়ে থাকব।’ 33কাজেই হুজুর, দয়া করে ছেলেটির বদলে আমাকে আপনার দাসের মত করে রাখুন, আর ছেলেটিকে তার ভাইদের সংগে ফিরে যেতে দিন। 34এই ছেলেটিকে না নিয়ে আমি কি করে আমার বাবার কাছে ফিরে যাব? তা করলে তাঁর দুঃখ-বেদনা আমাকে নিজের চোখে দেখতে হবে।”